বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
টাকা পরিশোধ না করায় নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের এবিএস পরিবহনের ২২টি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে নিয়েছে ইফাদ অটোজ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এই কোম্পানির কাছ থেকে এককালীন ও কিস্তিতে বাসগুলো কিনেছিলেন তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ পেয়ে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের টেকপাড়ার বালুর মাঠ থেকে বাসগুলো ইফাদ অটোজ নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এবিএস পরিবহন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল-সাইনবোর্ড-নগরীর চাষাঢ়া-কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল রুটে চলাচল করত।
অভিযোগ রয়েছে, নূর হোসেন এই রুটে যাত্রীবাহী বাস নামালেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কিস্তির কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়াই নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে পরিবহন টিকিট কাউন্টার বসিয়েছিলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম জানান, সাত খুনের ঘটনার আগে নূর হোসেন (সাত খুন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন) ঢাকার ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির কাছ থেকে কিস্তিতে ২৪টি যাত্রীবাহী বাস কেনেন। কিন্তু সাত খুনের মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর ওই বাসগুলোর কোনো কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। ফলে ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার ফজলুল হক সরকার ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা রুনা লায়লা বাসগুলো ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ফলে বুধবার রাত পর্যন্ত ২১টি ও বৃহস্পতিবার ১টি বাস ওই কোম্পানির নিজস্ব রেকারের মাধ্যমে নিয়ে যায়।
এসআই শামসুল আরও জানান, ২৪টি বাসের মধ্যে ২২টি নূর হোসেনের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ১টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও ১টি বাস ফতুল্লায় থানায় রয়েছে। দুটি বাসের নামে মামলা থাকায় বাস দুটি বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, প্রতিটি বাসের ইঞ্জিনসহ চেসিস মূল্য ২৪ লাখ টাকা। নূর হোসেন এককালীন নগদে পাঁচ লাখ টাকা দেন। অবশিষ্ট ১৯ লাখ টাকা ১১ শতাংশ সুদে ৪৮টি কিস্তিতে (প্রতিটি কিস্তি ৫৭ হাজার টাকা) প্রদান করার শর্তে বিক্রি করা হয়।